চিকুনগুনিয়া
একটি ভাইরাসের নাম। এ ভাইরাসের বাহক এডিস মশা। স্ত্রী এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে চিকুনগুনিয়া
ভাইরাসটি মানুষের শরীরে প্রবেশ করে এবং সংক্রমণের ৩ থেকে ৭ দিনের মধ্যেই সাধারণত উপসর্গ
দেখা দেয়। এডিস মশা সাধারনত খুব ভোরে এবং পড়ন্ত বিকেলে কাঁমড়ায়। এই মশার কামড়েই চিকুনগুনিয়া
ভাইরাসটি মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। এই ভাইরাসের প্রভাবে আমাদের যে জ্বর হয়, তা চিকুনগুনিয়া
জ্বর নামে পরিচিত। চিকুনগুনিয়া জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে বয়স্কদের, শিশুদের
এবং গর্ভবতী মহিলাদের মাঝে। এছাড়াও যারা অন্যান্য অসংক্রামক ব্যাধিতে; যেমন উচ্চরক্তচাপ,
ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ইত্যাদি রোগে আক্রান্তে এবং যাদের সংক্রামক ব্যাধি আছে; যেমন যক্ষা,
নিউমোনিয়া, ম্যালেরিয়া ইত্যাদি তাদের সম্ভাবনা অন্য রোগীদের তুলনায় বেশি। এছাড়াও সাম্প্রতিক
গবেষনায় দেখা গেছে যে, এ রোগে পুরুষদের তুলনায় মহিলারা বেশি আক্রান্ত হন।
কিভাবে বুঝবেন চিকনগুনিয়া জ্বর হয়েছে?
১. যদি- হঠাৎ
দেখেন জ্বর অস্বাভাবিক ভাবে ১০৪° থেকে ১০৫°
ফা. এর মধ্যে উঠানামা করছে এবং সাধারণ জ্বরের মত ঘাম দিয়ে ছাড়ে না।
২. সাধারণত পাঁচ
থেকে সাতদিন পর্যন্ত এ জ্বর থাকে।
৩. মুখে ঘা হতেপারে।
৪. মাথা ব্যাথা,
মাংস পেশী ব্যাথা।
৫. বমি বমি ভাব
ও খাবারে অরুচি।
৬. একাধিক জয়েন্ট
বা শরীরে মাঝারী থেকে তীব্র ব্যাথা।
চিকুনগুনিয়া
জ্বর প্রতিরোধের কোন নির্দিষ্ট কোন ঔষধ নাই। চিকুনগুনিয়া ভাইরাস নিরাময়েও কোন ঔষধ নাই,
তাই আমাদের যা করণীয়ঃ
১. জ্বর নিয়ন্ত্রনে
রাখতে ও ব্যাথা কমানোর জন্য শুধু মাত্র প্যারাসিটামল খাওয়া।
২. চিকিৎসকের
পরামর্শ ছাড়া অন্য কোন ঔষধ সেবন না করা।
৩. প্রচুর পানি
পান করা ও তরল খাদ্য গ্রহণ করা।
এডিস মশা প্রতিরোধে যা করণীয়ঃ
১. ফুল গাছের
টব, পরিত্যক্ত পাত্র, ডাবের খোসা, এসি ও ফ্রীজের নিচে বা অন্য কোন স্থানে পানি জমিয়ে
না রাখা।
২. বাড়ির উঠান
ও নির্মাণাধীন ভবনের পানির টাংকি নিয়মিত পরিষ্কার রাখা।
৩. দিনের বেলায়
ঘুমানোর সময়ও মশারী ব্যবহার করা।
৪. বাসার ভিতর
সব সময় পরিস্কার রাখা।
৫. আশে পাশের
ঝোপ-ঝাড় পরিস্কার করা।
৬. মশা নিধনে
প্রয়োজনীয় মাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার।
সুতরাং আপনি
সচেতন হোন, নিজে এবং পরিবারের সদস্যদের সুস্থ রাখুন।
0 comments:
Post a Comment