RECENT COMMENTS

সামাজিক ব্যবসা কি? What is social business?



সামাজিক ব্যবসা কি?

বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড: মুহাম্মদ উইনূস সামাজিক ব্যবসার প্রবক্তা। তিনি মুলত সামাজিক সমস্যা সমাধানের উদ্দেশেই সামাজিক ব্যবসার ধারণাটি মাথায় এনেছিলেন, কারণ তিনি চেয়েছিলেন ব্যবসাকে সমাধারেন একটি মাধ্যম হিসেবে, টাকা বানানোর মেশিন হিসেবে নয়।

বর্তমান পুঁজিবাদীর অস্থীর স্রোতে ধনী আরও ধনী হচ্ছে, গরীব আরও গরীব হচ্ছে, সামাজিক ব্যবসা হবে অস্থির পুঁজিবাদীর বিরুদ্ধে এক কঠিন হাতিয়ার, এই প্রেক্ষিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২০০৭ সালের শেষের দিকে “সামাজিক ব্যবসা” ধারনাটি প্রবর্তন করেন।

সামাজিক ব্যবসায় এক বা একাধিক মালিক হতে পারে । এটি অন্য সব ব্যবসার মতই একটি ব্যবসা। তবে সনাতন ব্যবসাতে একজন মালিক যত ইচ্ছা খুশি মুনফা অর্জন করে নিজের করে নিতে পারে কিন্তু সামাজিক ব্যবসাতে, মালিক যে পরিমান মুলধন বিনিয়োগ করবেন শুধু সেই পরিমান মুলধন ফেরত পাবে। ব্যবসায় অর্জিত কোন মুনাফা পাবেন না। মুনাফার টাকাটা সমাজের চিহ্নিত সমস্যার সমাধানের জন্য ব্যায় করা হবে। একজন মালিক চাইলে ২ বছর, ৫ বছর বা ১০ বছর পর অথ্যাৎ শর্তানুযায়ী নির্দিষ্ট সময় পর বিনিয়োগকৃত মুলধন টাকা ফেরত নিতে পারবেন।

এখন প্রশ্ন হলো, মুনাফা না পেলে একজন মানুষ কেন এই ব্যবসায় মুলধন বিনিয়োগ করবে? কেন ব্যবসায় সময় ব্যায় করবে? এর উত্তরে বলা যায়- দেশপ্রেম ও দেশের বিভিন্ন সমাজিক সমস্যার সমাধানের উদ্দেশে মানবতার টানে।

বর্তমান পৃথিবীথে বহু সামাজিক সংগঠন আছে যারা সামাজিক সমস্যা সমাধানের উদ্দেশে কাজ করে। এসব সংগঠন কে বিভিন্ন ব্যক্তি বা সংস্থা নিজ আত্নপ্রণোদিত হয়ে দান করে। দান করা মুলধনটা মাত্র একবার ব্যবহার করা যায়, দ্বিতীয়বার ব্যবহার করার সুযোগ থাকে না। কিন্ত সামাজিক ব্যবসা এরকম নয়। এ ব্যবসায় মুলধন বিনিয়োগ করলে, শুধুই মুলধন ফিরে পাবে, কোন মুনাফা পাবে না। এভাবে চাইলে একজন মানুষ বহুবার একই অর্থ ব্যবহার করা করতে পারবে।

দেশের অনেক প্রতিষ্ঠান এবং বহু মানুষ সামাজিক ব্যবসা সম্পর্কে আগ্রহ নিয়ে জানছে এবং এগিয়ে আসছে। ধারাবাহিকভাবে এ ব্যবসার সম্প্রসারণ ঘটছে বিশ্বের অনেক দেশে। ভারত, চীন, জাপান, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, স্পেন, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, আলবেনিয়া, হাইতি গড়ে উঠেছে এ ব্যবসা।

Share on Google Plus

0 comments:

Post a Comment