RECENT COMMENTS

হাতের লেখা সুন্দর করার চমৎকার কৌশল


শিশুদের হাতের লেখা শেখানোর জন্য আমরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে থাকি। এছাড়া বড়রা হাতের লেখা সুন্দর করার জন্য বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করে থাকি। অসুন্দর ও অমার্জিত হাতের লেখার জন্য অনেক ক্ষেত্রে আমাদের লজ্জ্বাও পেতে হয়। কিন্তু আর লজ্জ্বা নয়; আসুন আজই হাতের লেখা সুন্দর করা যায় তার কিছু চমৎকার ও গুরুত্বপূর্ণ কৌশল শিখে নেই।
বাংলা বর্ণমালা ও হাতের লেখা সঠিক ভাবে লিখতে হলে আগে আমাদের “সপ্ত-স” কৌশল সম্বন্ধে জানতে হবে।
সপ্ত-স কি: বাংলা বর্ণমালা ও হাতের লেখা সঠিক ভাবে লিখার জন্য ০৭ টি কৌশল অবলম্বন করতে হয়- যথা:- সঠিক প্রবাহ, সঠিক আকৃতি, সমান দুরুত্ব, সমান্তরাল, সমপদ, সমশির এবং সঠিক মাত্রা এগুলোকেই বলে সপ্ত-স।
১. সঠিক প্রবাহ: সঠিক প্রবাহ হলো বর্ণ বা অক্ষর কোন স্থান থেকে শুরু করে কোন স্থানে শেষ করতে হবে তার সঠিক দিক নির্দেশনা। চিত্রে -> চিহ্ন দিয়ে বোঝানো হয়েছে।

২. সঠিক আকৃতি: প্রতিটি বর্ণের আকৃতি সমান হতে হবে। কোন বর্ণ ছোট কোন বর্ণ বড় যেন না হয়।

৩. সমান দুরত্ব: শব্দ লেখার ক্ষেত্রে এক বর্ণ হতে অন্য বর্ণের দুরুত্ব সমান হয় সেদিকে লক্ষ্য রাথতে হবে।

৪. সমান্তরাল: বর্ণ বা অক্ষরগুলোর মধ্যে পাশাপাশি ও উপরের অবস্থান বা মাপ যেন সমান হয়।

৫. সমপদ: প্রতিটি বর্ণ বা অক্ষরের নিচের অংশ বা পদ সমান রাখতে হবে।

৬. সমশির: প্রতিটি বর্ণ বা অক্ষরের উপরের অংশ একই সমান রাখতে হবে।
     
৭. সঠিক মাত্রা: বাংলা বর্ণে কোনটির পূর্ণমাত্র, কোনটির অর্ধমাত্র এবং কোন কোন বর্ণের কোন মাত্রাই নেই এগুলো ভালো করে লক্ষ্য রাখতে হবে।

এভাবে আমরা নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে আমাদের হাতের লেখা খুব দ্রুত সুন্দর করতে পারি। অংক ও ইংরেজী হাতের লেখা সুন্দর করার জন্যও একই নিয়ম ( সপ্ত-স ) নিয়মিত চর্চা করতে হবে।


Share on Google Plus

5 comments: