উপানুষ্ঠানিক শিক্ষায় বর্তমানে যে কয়েকটি শিখন শিক্ষণ পদ্ধতি বা প্রক্রিয়া রয়েছে তার মধ্যে এবিলিটি বেইজ শিক্ষন (Ability Base Learning) পদ্ধতি হলো অন্যতম একটি পদ্ধতি।
বিদ্যালয় বর্হিভূত ও ঝুকি
পূর্ণ অবস্থায় শিশুদের জাতীয় শিক্ষাক্রমের নির্ধারিত প্রান্তিক যেহগ্যতাগুলো অর্জনে
সহায়তা করার জন্য এমন একটি শিক্ষাক্রম যেখানে শিশুরা ভিন্ন ভিন্ন ধরণের কর্ম
তৎপরতার মাধ্যমে যার যার শিখনের মান অনুযায়ী শেখার সুযোগ পাবে এবং যার যার শিখনের
গতি অনুযায়ী অগ্রসর হবে। অথ্যাৎ যা হবে সম্পূর্ণ Ability base, flaxible and
activity base. এর ফলে শিশু অপেক্ষাকৃত কম সময়ের মধ্যে তার জন্য নির্ধারিত
প্রান্তিযোগ্যতাগুলো অর্জন করতে পারে।
এবিএল পদ্ধতিঃ
যে পদ্ধতির মাধ্যমে একজন শিক্ষক একটি কক্ষে বিভিন্ন বয়সী ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণির
যোগ্যতাসম্পন্ন শিশুদের নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন দল গঠন করে একই সাথে কাজ করে। শিশুরা
তাদের শ্রেণিভিত্তিক দলে বসে যার যার অবস্থান অনুযায়ী কাজ করে এবং ভিন্ন ভিন্ন
ধরণের কর্মতৎপরতার মাধ্যমে শেখার সুযোগ পায়।
এবিএল পদ্ধতির বৈশিষ্ট্যঃ এবিলিটি
বেইজ শিক্ষন (Ability Base Learning) এমন একটি শিখন শিক্ষক্রম বা প্রক্রিয়া যেখানে
শিক্ষার্থী শিক্ষকের সহায়তায় নিজ শিখনের ধরণ, গতি এবং অবস্থান নিজেই চিহ্নিত করতে
পারে ও ওস অনুযায়ী শিখনের পরিকল্পনা তৈরি করতে পারে। অথ্যাৎ এতে শিখন শিক্ষণের এমন
প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হয় যাতে শিক্ষার্থী নিজ শিখনের ধরণ এবংপছন্দ-অপছন্দ অনুযায়ী
কাজ করতে পারে। যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর স্ব-মূল্যায়ন দক্ষতা, বিচারমূলক চিন্তার
দক্ষতা এবং বিশ্লেষণী দক্ষতার উম্মেষ ঘটে। এ পদ্ধতির মাধমে শিশু কখনও এককভাবে,
কখনও জুটিতে আবার কখনও দলে এসব কাজ গুলো করার সুযোগ পায়।
এবিএল শিক্ষা ব্যবস্থায়
একজন শিশু তার শিখনের অবস্থান ও পছন্দ অনুযায়ী খেলা, হান, ছড়া, গল্প বলা, ছবি
আঁকা, অভিনয়, বিভিন্ন ধরণের অনুশীলনী এবং আরও নানা ধরণের কাজের মাধ্যমে যোগ্যতা অর্জনের
সুযোগ পায়। এতে শিশুর জন্য নানা ধরণের উপকরণ ব্যবহারের সুযোগ রাখা হয়।
এবিলিটি বেইজ শিক্ষনের মূল
কথাঃ
Ø শিক্ষার্থী
তার অবস্থান ও চাহিদা অনুযায়ী কাজ করবে।
Ø শিক্ষক
তার কাজে প্রয়োজন অনুযায়ী সাহায্য করবেন।
Ø শিক্ষার্থী
বিভিন্ন ধরণের উপকরণ ও একটিভিটি/কর্ম তৎপরতার মাধ্যমে একটি যোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা
করে।
Ø এতে
শিক্ষার্থীর ভূমিকা থাকবে মূখ্য।
Ø শিক্ষকের
ভূমিকা হবে গৌণ।
Ø শিক্ষার্থীর
শিখন পরিকল্পনা শিক্ষার্থী নিজেই করবে।
মনে রাখা প্রয়োজন যে, সব
শিক্ষার্থী একসাথে একই সময়ে কোন একটি বিশেষ যোগ্যতা অর্জন করতে পারে না বা কোন
একটি কাজ শেষ করতে পারে না। তাই কোন একটি যোগ্যতা অর্জন করতে বা কোন একটি কাজ শেষ
করতে একজন শিক্ষার্থীর যতক্ষণ সময় প্রয়োজন হবে ততক্ষণ সময় তাকে দিতে হবে। কারণ, সব
শিক্ষার্থীর শিখনের চাহিদা, আকাঙ্খা বা গতি সমান থাকে না।
যে কোন প্রচলিত শ্রেণিকক্ষ
থেকে এবিলিটি বেইজ শিক্ষন কার্যক্রম ভিন্ন, কারণ;
Ø বেইজ
লাইন যাচাইয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়।
Ø এতে
একই শ্রেণিকক্ষে ভিন্ন ভিন্ন মানের শিক্ষার্থী থাকে।
Ø শিক্ষার্থীর
যোগ্যতা, পছন্দ ও শিখনের গতি অনুযায়ী শিখন পরিকল্পনা করতে পারে।
Ø শিক্ষার্থীরা
শ্রেণিভিত্তিক দলে কাজ করে।
Ø শিক্ষার্থীদের
অবস্থান অনুযায়ী শ্রেণিভিত্তিক পৃথক পৃথক দলে বসবে।
Ø শিক্ষার্থীর
মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থী তার নিজের শিখনের ধরণ ও অবস্থান বুঝতে পারে।
তথ্যসূত্র-
শিখন
শেখানো পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া- জুন, ২০২০
ইউনিসেফ,
বাংলাদেশ।
0 comments:
Post a Comment