RECENT COMMENTS

প্রাক-প্রাথমিক শিশুদের অর্জন উপযোগী যোগ্যতা।


প্রাক-প্রাথমিক শিশুদের বিকাশের ক্ষেত্র ও শিখনক্ষেত্রঃ

প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাক্রম প্রণয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষাক্রমের চাহিদা অনুযায়ী বিকাশের ৪টি ক্ষেত্র নির্ধারণ করা হয়েছে, যথা; ৮টি শিখনক্ষেত্রে বিভাজন করা হয়েছে।

·         শারীরিক ও চলনক্ষমতার বিকাশ

·         সামাজিক  ও আবেগিক দক্ষতার বিকাশ

·         ভাষা ও যোগাযোগ দক্ষতার বিকাশ

·         বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ

এই ৪টি ক্ষেত্রকে ৮টি (Learning Area) শিখনক্ষেত্রে বিভাজন করা হয়েছে, যথা;

১. শারীরিক সক্ষমতা ও চলনক্ষমতা

২. সামাজিক  ও আবেগিক

৩. ভাষা ও যোগাযোগ

৪. প্রারম্ভিক গণিত

৫. সৃজনশীলতা ও নানন্দিকতা

৬. পরিবেশ

৭. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ও

৮. স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা

প্রতিটি শিখনক্ষেত্রের জন্য একাধিক অর্জনোপযোগী যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রাক-প্রাথমিক কার্যক্রমের শিখন শেখানো প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিশুরা যে অর্জন উপযোগী দক্ষতাসমুহ অর্জন করতে সক্ষম হবে সেগুলো শিখনক্ষেত্র অনুযায়ী দেয়া হলো।

শিখনক্ষেত্র

অর্জন উপযোগী যোগ্যতা

১. শারীরিক সক্ষমতা ও চলনক্ষমতা

নিয়মিত হাঁটাচলা, দৌড়ানো, খেলা, শারীরিক কসরত ও বিভিন্ন কাজে অংশগ্রহণ করতে পারা।

বিভিন্ন জিনিস ধরতে, আঁকতে ও তৈরি করতে পারা।

বিভিন্ন ইন্দ্রিয়ের ব্যবহার ও সমন্বয় করে কাজ করতে পারা।

২. সামাজিক  ও আবেগিক

সামাজিক রীতি মেনে বড়দের সাথে যোগাযোগ ও আচরণ করতে পারা।

বন্ধু ও সমবয়সীদের সাথে মেলামেশা করতে পারা।

সামাজিক গুণাবলি অর্জনের মাধ্যমে মিলেমিশে থাকতে পারা।

আত্নসচেতন হওয়া, আত্ননিয়ন্ত্রণ করা ও আবেগ প্রকাশ করতে পারা।

নৈতিকতা ও মূল্যবোধ সম্পর্কে সচেতন হওয়া।

বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের চর্চা করা।

৩. ভাষা ও যোগাযোগ

ভাব গ্রহণ (দেখা এবং শোনা) ও প্রকাশ (বলা বা শারীরিক অঙ্গভঙ্গি) করতে পারা।

পড়তে পারা (প্রাক-পঠন)।

লিখতে পারা (প্রাক-লিখন)।

৪. প্রারম্ভিক গণিত

প্রাক-গাণিতিক ধারণা অর্জন করা।

সংখ্যার ধারণা অর্জন করা।

সংখ্যা লিখতে পারা।

সংখ্যার তুলনা করতে পারা।

যোগের ধারণা অর্জন করা।

বিয়োগের ধারণা অর্জন করা।

৫. সৃজনশীলতা ও নানন্দিকতা

চারু ও কারু কাজের মাধ্যমে সৃজনশীলতা ও নানন্দিকতা প্রকাশ করতে পারা।

ছড়া, নাচ, গান, গল্প ও অভিনয়ের মাধ্যমে সৃজনশীলতা ও নানন্দিকতা প্রকাশ করতে পারা।

দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজে নান্দনিকতার প্রকাশ করতে পারা।

৬. পরিবেশ

পরিবেশের বিভিন্ন বস্তু ও ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারা।

পরিবেশ সংরক্ষণ করতে পারা।

৭. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

বিজ্ঞানমনস্ক হওয়া।

জড়, জীব, উদ্ভিদ ও প্রাণী সম্পর্কে জানতে পারা।

নিত্তব্যবহার্য প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে পারা।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা লাভ করা।

বিভিন্ন প্রকান যানবাহন সম্পর্কে জানতে পারা।

৮. স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা

স্বাস্থ্য সম্পর্কিত দৈনন্দিন কাজ করতে এবং খাবার ও বিশ্রামের অভ্যাস গড়ে তুলতে পারা।

নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত থাকার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারা।



তথ্য সূত্র-

প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষক সহায়িকা- আগস্ট, ২০১৬,

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশ।

Share on Google Plus

0 comments:

Post a Comment