ছবিসংগ্রহ- গুগল |
প্রাচীন
মুসলিম ইতিহাসের সর্ব শ্রেষ্ঠ বুজুর্গ, আলেম ও সুফি দার্শনিক বলা হয় মাওলানা জালাল
উদ্দিন মোহাম্মদ রুমি (রঃ) কে। এছাড়া তিনি ছিলেন ১৩ শতকের একজন বিখ্যাত
কবি, আইনজ্ঞ, ইসলামি ব্যক্তিত্ব। তার গুণকীর্তণ শুধু মুসলিম বিশ্বেই সীমাবদ্ধ থাকেনি,
বরং সাম্প্রদায়ীকতার গন্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের সকল জাতি ও ধর্মের মানুষের কাছে। জালাল উদ্দিন রুমির বেশির
ভাগই লেখা ফার্সি ভাষায়। রুমিকে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় কবি এবং বেস্ট সেলিং
পয়েন্ট বলা হয়। তার গজল, কবিতা, দর্শন ও সূফীতত্ত্ব সারাবিশ্বে বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ
হয়েছে। তার কবিতায় সৃষ্ট ও স্রষ্টার প্রেমের স্বরুপ ফুঁটে উঠেছে। নিন্মে তার কিছু বিখ্যাত
উক্তি দেয়া হলো:
১)
”আপনার কাজ প্রেমের সন্ধান করা নয়, কেবল নিজের মধ্যে থাকা সমস্ত প্রতিবন্ধকতাগুলি
অনুসন্ধান এবং সন্ধান করা যা আপনি এর বিরুদ্ধে
তৈরি করেছেন।
২)
”খাবার সন্ধানের সময় সিংহ সবচেয়ে সুদর্শন।
৩)
”প্রেম আপনার এবং সবকিছুর মধ্যে সেতুবন্ধ করে।
৪)
”দরজা এত প্রশস্ত হলে আপনি কারাগারে থাকবেন কেন?
৫)
”আপনি যখন পথে হাঁটতে শুরু করলেন, তখন সেই পথটি উপস্থিত হবে।
৬)
”একমাত্র স্থায়ী সৌন্দর্য হলো হৃদয়ের সৌন্দর্য।
৭)
”যেই মুহুর্তে তুমি যে সমস্যা পরেছো, তা আপনি মেনে নাও, তাহলেই সমাধানের দরজাটি খুঁজে
পাবে।”
৮)
“যদি তুমি চাঁদের প্রত্যাশা কর, তবে রাত থেকে লুকিয়োনা। যদি তুমি একটি গোলাপ আশা কর,
তবে তার কাঁটা থেকে পালিয়োনা, যদি তুমি
প্রেমের প্রত্যাশা করো, তবে আপন সত্তা থেকে হারিওনা।”
৯)
”শোক করো না, যা হারিয়েছেন তা অন্য রূপে আসবে।”
১০)
”গতকাল আমি চতুর ছিলাম, তাই আমি বিশ্বকে পরিবর্তন করতে চেয়েছিলাম। আজ আমি জ্ঞানী,
তাই আমি নিজেকে পরিবর্তন করছি।”
১১)
”যা দেখতে সুন্দর তার চোখের জন্য তৈরি করা হয়েছে। আর অন্তরের জন্য সুন্দর, ন্যায় এবং
মনোরম সবকিছু।”
১২)
”আপনার কথা উত্থাপন করুন, কণ্ঠস্বর নয়। এটি বৃষ্টি যা ফুল গজায়, গর্জান নয়।”
১৩)
"আপনার হৃদয়ে একটি মোমবাতি আছে, তা জ্বলতে
প্রস্তুত।
আপনার আত্মায় একটি শূন্যতা আছে, তা পূর্ণ হতে প্রস্তুত।
আপনি এটা অনুভব করেন, তাই না?"
১৪)
”বিদায় শুধুমাত্র তাদের জন্য যারা তাদের চোখ দিয়ে ভালোবাসে। কারণ যারা হৃদয় ও প্রাণ
দিয়ে ভালোবাসেন তাদের জন্য বিচ্ছেদ বলে কিছু নেই।”
১৫)
”তুমি পাখিদের মতো গান গাইতে থাকো, কে শুনবে বা কে কী ভাববে তা নিয়ে চিন্তা করো না।”
১৬)
”তোমার হৃদয় একটি বিশাল সমুদ্র। সেই সমুদ্রের লুকানো গভীরতা সন্ধান করো।”
১৭)
“যারা তোমাকে ভয়ঙ্কর এবং দুঃখিত করে তোলে তাদের উপেক্ষা করো।”
১৮)
"আপনি যখন নিজের কাছ থেকে দূরে চলে যাবেন, তখন আপনি হয়ে উঠবেন।"
১৯)
"মনে রাখবেন, অভয়ারণ্যের প্রবেশদ্বারটি আপনার অভ্যন্তরে।"
২০)
"জীবনকে এমনভাবে বেঁচে রাখুন যেন সবকিছুই আপনার অনুকূলে থাকে”
২১)
“মহাবিশ্ব তোমার বাইরে নয়। নিজের ভিতরে দেখো, তুমি যা হতে তা ইতিমধ্যে তোমার মধ্যেই
বিদ্যমান।”
২২)
"আপনি যেখানে অন্ধকারে বসে থাকবেন সেখানে ধৈর্য ধরুন, ভোর হবে”
২৩)
"আপনি যত বেশি শান্ত হবেন আপনি শুনতে পারবেন”
২৪)
"প্রত্যেককেই কিছু নির্দিষ্ট কাজের জন্য তৈরি করা হয়েছে এবং প্রত্যেকের মনেই
সেই কাজটি করার আকাঙ্খাও দিয়ে দেয়া হয়েছে।"
২৫)
”আপনার হৃদয়ের কেন্দ্রস্থল যেখানে জীবন শুরু হয় - পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর জায়গা।”
২৬)
”বিশ্ব যখন আপনাকে আপনার হাঁটুর কাছে ঠেলে দেয়, আপনি প্রার্থনার উপযুক্ত অবস্থানে
থাকেন।”
২৭)
“যদি তুমি সত্যিকারের মানুষ হয়ে থাকো, তাহলে ভালবাসার পক্ষে নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে
বাজি ধরো। যদি না পারো, তাহলে এই কোলাহল ত্যাগ করো। কারণ, যার হৃদয় ভালবাসায় পূর্ণ
না, সে কখনো গৌরবময় জীবনে পৌঁছাতে পারে না।”
২৮)
“মোমবাতির মতো আলো দেয়া সহজ নয়। কারণ, অন্যকে আলোকিত করতে হলে আগে নিজেকে আগুনে পোড়াতে
হয়।”
২৯)
“এই যে পথ, এই পথ তোমার, একার। অন্যরা হয়ত তোমার সঙ্গে হাঁটবে কিন্তু কেউই তোমার জন্যে
হাঁটবে না।”
৩০) “আমাদের জীবনের
অর্ধেককাল কেটে যায় অন্যকে মুগ্ধ করার প্রচেষ্টায়, আর বাকি অর্ধেক কাটে অন্যের দেয়া
দুশ্চিন্তার ভারে।”
৩১) “তুমি সাগরের এক
বিন্দু পানি নও, তুমি এব বিন্দু পানিতে গোটা সাগর।”
৩২)
”কেউ যখন কম্বল পেটাতে থাকে তখন সেটা কম্বলের বিরুদ্ধে নয়, ধুলোর বিরেুদ্ধে। তোমার
হৃদয় আমিত্বের ধূলায় ঢেকে গেছে, এ ধূলা সহজেই পরিষ্কার হবে না। প্রতিটি নিষ্ঠুরতা আর
আঘাতের মাধ্যমে; কখনও সজ্ঞানে কখনও নিজের অজান্তে হৃদয থেকে একটু একটু করে আমিত্বের
ধূলা পরিষ্কার হবে।”
৩৩)
”শোক প্রকাশ হতে পারে সমবেদনার বাগান। যদি সব কিছুতে নিজের হৃদয়টাকে উদার রাথতে পারো,
বেদনা তোমার শ্রেষ্ঠ বন্ধু হতে পারে।”
৩৪)
”প্রেম আসলে কোথাও মিলিত হয় না। সারাজীবন এটা সবকিছুতে বিরাজ করে।”
৩৫)
“প্রেমই মুক্তি, প্রেমই শক্তি, প্রেমই পরিবর্তনের গুপ্ত শক্তি।”
৩৬)
“প্রত্যেক ধর্মেই মোহাব্বত তথা ভালোবাসা আছে কিন্তু ভালোবাসার নির্দিষ্ট কোন ধর্ম নাই।”
৩৭)
”ভালোবাসা ছাড়া পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর জিনিসও যন্ত্রণাদায়ক মনে হয়।”
৩৮)
”গলে যাওয়া বরফের মত হও। নিজেকে দিয়ে নিজেকে ধুয়ে নাও।”
৩৯)
“দুই ব্যক্তি কখনও সন্তুষ্ট হয় না; বিশ্বকে যে ঘুরে দেখতে চায় আর যে আরও জ্ঞান অর্জন
করতে চায়।”
৪০)
”যে বাতাস গাছে উপড়ে ফেলে, সেই বাতাসই ঘাস পরিষ্কার করে। সৃষ্টিকর্তা ঘাসের দূর্বলতা
ও নমনীয়তা পছন্দ করেন।”
৪০)
”কখনও বড় হওয়ার দম্ভ করো না, গাছের কান্ড যতই মোটা হোক না কেন কুড়াল ঠিকই তা খন্ড-বিখন্ড
করে ফেলে। কিন্তু পাতায় আঘাত করে না।”
৪০)
আমরা জন্মাই ডানা নিয়ে, কিন্তু সারাজীবন হামাগুড়ি দিয়ে চলতে চাই।”
৪১)
“আনন্দময় দিন তোমার কাছে আসবে না, বরং তোমাকেই এমন দিনের কাছে এগিয়ে যেতে হবে।”
৪২)
”ভালোবাসায় পরিপূর্ণ হৃদয় ঠিক যেন আগুন পনির মত, যাকে
কোন খাঁচায়ই বন্দি করা যায় না।”
৪৩) “যদি তুমি কারও হৃদয়কে জয় করতে চাও তাহলে প্রথমে অন্তরে ভালোবাসার
বীজ রোপন করো। আর যদি তুমি জান্নাত পেতে চাও তাহলে অন্যের পথে কাঁটা বিছানো ছেড়ে দাও।”
৪৪)
”আমি ভুলে গেছি আমার সব জ্ঞান, তোমাকে জেনে আমার শিক্ষা পূর্ণ হয়েছে। আমি আমার ক্ষমতা
হারিয়েছি কিন্তু তোমার শক্তিতে আমি বলীয়ান হয়েছি। আমি আমাকে ভালবেসেছি, তাই আমি তোমাকে
ভালবাসি। আমি তোমাকে ভালবাসি, তাই আমি আমাকে ভালবাসি।”
৪৫) “আমরা শূন্য
থেকে ঘুরতে ঘুরতে এসেছি
যেমনটা তারারা আকাশে ছড়িয়ে থাকে।
তারারা মিলে একটি বৃত্তের সৃষ্টি করে,
এবং তার মাঝে আমরা নাচতে থাকি।”
যেমনটা তারারা আকাশে ছড়িয়ে থাকে।
তারারা মিলে একটি বৃত্তের সৃষ্টি করে,
এবং তার মাঝে আমরা নাচতে থাকি।”
৪৬)
”আলো যদি আপনার হৃদয়ে থাকে তবে আপনি আপনার বাড়ির পথ খুঁজে পাবেন।”
৪৭)
”প্রতিটি ব্যক্তি আত্মার মধ্যে যা রোপণ করবে; তা ফুটে উঠবে।”
৪৮) “যখন তুমি সত্য ভালোবাসায় পড়বে, তখন শরীর, মন, আত্মার কোন
অস্তিত্বই খুজে পাবে না। এমন ভালোবাসায় পতিত হও, তাহলে তোমাকে কখনও আবার আলাদা হতে
হবে না।”
৪৯) ”যদি থাকে অতুল, তবে দান করো তোমার সম্পদ।
যদি থাকে সামান্য, তবে দান করো তোমার হৃদয়।”
৫০) স্রষ্টার কাছে পৌছানোর অজস্র পথ আছে। তার মাঝে আমি প্রেমকে বেছে নিলাম।
৫০) স্রষ্টার কাছে পৌছানোর অজস্র পথ আছে। তার মাঝে আমি প্রেমকে বেছে নিলাম।
তথ্য
সংগ্রহ:
বিভিন্ন বাংলা ব্লগ এবং উইকিপিডিয়া থেকে।
মাইকেল এইচ. হার্ট এর বাংলা
অসুবাদ।
0 comments:
Post a Comment