রাতের সমস্ত নীরবতা ভেঙ্গে জেগে উঠি
একটি দুঃস্বপ্নের অপমৃত্যু ঘটাব বলে।
ঐ নির্জন চাঁদকে বলি আমাকে এক পেয়ালা হেমলকের রস দাও
আমি তাকে মৃত্যুদন্ড দিতে চাই,
সে শুধু হাসতে দেখে, গাইতে দেখে কিন্তু হাসি শেষে নীরবতা দেখে না।
ধূসরাকাশের ঐ চাঁদটাকে আর ভালো লাগে না
পড়ন্ত গোধুলির রক্তিম রাগ আমার মনকে আর স্পন্দিত করে না।
ক্যাম্পাসের তুমুল আড্ডা,
বাকবিতন্ডা ও করতালির রব ওঠে না।
বেদনা কখন মধুর হয় তা আজও অজানা রয়ে গেল।
আমি জীবস্মৃত হয়ে হেঁটে চলছি অজানা কোন তীর্থে,
যেখানে কোন অভাব নেই
নেই কোন মায়ের চোঁখে অশ্রু।
নেই পোড়া সংসার টেনে বেড়ানোর চরম দায়িত্ব।
যেখানে থাকবে না কোন সিনথিয়ার চাপা আর্তনাদের উল্লাস,
হাজারও নক্ষত্রের সাথে আমার স্বপ্ন ছুটে চলে, ঐ দিগন্তের অন্তিম সীমান্তে।
আমি চলছি ছুটে চলছি...
ছুটে চলছি যেখানে অপেক্ষা করে, ‘নবারুন আলো’
সেই আলোয় চোঁখ মেলে দেখি- আমি আজও এই পৃথিবীতেই রয়ে গেছি!
সমস্ত দেহ মনে ভর করছে অদৃশ্য আতশী।
বাস্তব নামক দানবের থাবায় আমার স্বপ্ন আজ দুঃস্বপ্নে পরিনিত
হে বাস্তবতা!
তুমি বড়ই রহস্যময়;
এই ক্ষনে ক্ষনে মানুষকে হাঁসাও
আবার, এই ক্ষনে ক্ষনে মানুষকে কাঁদাও!
তাইত পৃথিবীতে যতক্ষন বেঁচে আছি মৃত্যুকে কল্পনা করে বেঁচে আছি।
চলুন আমরা সামনের দিকে অগ্রসর হই,
আমি অগ্রসর হই মৃত্যুর দিকে আর আপনারা অগ্রসর হোন জীবনের দিকে...
শরশ_দিগন্ত
শরশ_দিগন্ত
0 comments:
Post a Comment